আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান নির্মাণ, বাধাঁ দেওয়ায় হামলায়, আহত -৪

মাদারীপুরের ডাসারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের বিরেুদ্ধে জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন নারীসহ ৪ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকান ও বসতঘর। কাটা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি গাছ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব খাতিয়াল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পূর্ব খাতিয়াল এলাকার সামিউল সরদার (৪০), তার ভাই এমদাদুল হক (৩১), তাদের মা মিনারা বেগম (৫৭) ও মিনারা বেগমের পুত্রবধূ মিনারা বেগম (২৮)। আহতদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খালিয়াল মৌজায় ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আরোজ আলী সরদার। সম্প্রতি ওই জমি দখল করতে যাবার অভিযোগ ওঠে প্রতিপক্ষ ফরিদ সরদারের বিরুদ্ধে। এতে বাঁধা দেন আরোজ আলীর স্ত্রী ও সন্ত্রানরা। পরে আরোজ আলী ছেলে এমদাদুল হক ৩ মে মাদারীপুর আদালতে একটি মামলা করেন। এই মামলায় ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালতের বিচারক। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরোজ আলীর নির্দেশে জমিতে লোকজন নিয়ে একটি দোকান নির্মাণ শুরু করেন ফরিদ সরদার। বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদকে বাঁধা দেওয়া হলে তিনি তার লোকজন নিয়ে আরোজ আলীর স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আরোজ আলীর বড় ছেলে সামিউল সরদারের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করে লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে ফরিদ সরদার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলেন তারা। খবর পেয়ে ডাসার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সামিউল সরদার বলেন, আমাদের জমিতে জোড় করে ফরিদ সরদারসহ কয়েকজন দখলদার দখল করে দোকান নির্মাণ শুরু করে। তার আগে ফরিদ সরদার আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। তার কথা না শুনলে তিনি বিরোধীতা শুরু করেন। আমার দোকান লুটপাট করে ভাঙচুর করেছে। বাড়িতে হামলা চালাইছে। বাঁধা দিলে আমার মা ও ভাইর স্ত্রীসহ আমাদের চার জনের উপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
সামিউলের আরেক ভাই এমদাদুল হক বলেন, ওই সন্ত্রাসীদের কারণে আমরা এলাকায় থাকতে পারছি না। আদালতকে অমান্য করে ওরা জোড়পূর্বক আমাদের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাঁধা দিলে আমাদের মারধর করা হইছে। বাড়িতে হামলা লুটপাট করছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফরিদ সরদার বলেন, আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত নই।
মাদারীপুরের ডাসার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর দাশ বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা কাজ শুরু করেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে। দুপক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সামিউলদের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।