মাদারীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক মামলার বাদী পক্ষের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে অবৈধ বালুর চাতাল বসিয়ে রমরমা ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস বেপারী নামের এক বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বালুর স্তুপের কারণে বাদী পক্ষের লোকজন ও এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জোর পূর্বক জমি দখল করে এসব অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর শহরের একটি মিডিয়া অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে নুরুল হক জমাদ্দার জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের ৩৮ নং এওজ মৌজার ১১৭৭ নং দাগের ৪ একর ৭৯ শতাংশ জমির মধ্যে নুরুল হক জমাদ্দারের ছয় ভাই ওয়ারিশ সূত্রে ১ একর ২ শতাংশ জমির মালিকানা স্বত্ত্ব রয়েছে। অপর দিকে ১১৭৭নং দাগের জমিতে ওই বাদী পক্ষের বংশীয় অন্য শরীক খলিল জমাদ্দারের ১ একর ২ শতাংশ জমি রয়েছে। কিন্তু জমির বন্টন জটিলতার সুযোগ নিয়ে খলিল জমাদ্দার তার ভাগ্নি জামাই ইলিয়াস বেপারীকে উক্ত জমিতে থাকা একটি পুকুর বালু দ্বারা ভরাট করে বালুর চাতাল গড়ে তুলে অবৈধ বালুর ব্যবসা গড়ে তুলেছে। নিয়মিত ভাবে ওই জমিতে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে উচ্চ স্তুপ আকারে বালু সংরক্ষণ করে বিক্রি করেন। বালু স্তুপীকরণের সময়ে ড্রেজারের পানিতে চারপাশের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে চরম দুর্ভোগ হয়। এছাড়া শুকনো বালু বাতাসের সাথে উড়ে আশেপাশের বাড়িঘরের পরিবেশে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করছে। এতে অনেক বয়স্ক ও শিশুরা নানা রকমের রোগ ব্যাধিতে ভুগছেন। বাদী পক্ষের লোকজন নিয়মিত আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে বালু ব্যবসা বন্ধ করার কথা জানালেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস বেপারী তার নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসা বন্ধ করেননি। উল্টো বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস বেপারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি মূলত তার মামা শশুর খলিল জমাদারের কাছ থেকে শুরুতে ওই জমি ভাড়া নিয়ে বালুর ব্যবসা শুরু করেছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, এসব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।
সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মো. আজিজ জমাদার, মো. শহীদ জমাদার, জালাল জমাদারসহ অন্যরা।

